1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. আন্তর্জাতিক
  4. খেলাধুলা
  5. বিনোদন
  6. তথ্যপ্রযুক্তি
  7. সারাদেশ
  8. ক্যাম্পাস
  9. গণমাধ্যম
  10. ভিডিও গ্যালারী
  11. ফটোগ্যালারী
  12. আমাদের পরিবার
ঢাকা , বুধবার, ০৮ মে ২০২৪ , ২৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কোনো রোজাদার রোজার কথা ভুলে গিয়ে পানাহার করলে তার রোজা নষ্ট হবে না। তবে রোজা স্মরণ হওয়ামাত্রই পানাহার ছেড়ে দিতে হবে।

যে সকল ভুলে ভাঙ্গবেনা রোজা

নিউজ ডেস্ক
আপলোড সময় : ২১-০৩-২০২৪ ০৫:২৬:৪০ পূর্বাহ্ন
আপডেট সময় : ২১-০৩-২০২৪ ০৫:২৬:৪০ পূর্বাহ্ন
যে সকল ভুলে ভাঙ্গবেনা রোজা
রোজা ভেঙে গেছে মনে করে ইচ্ছাকৃত অনেকেই পানাহার করে ফেলে। তবে এমন কিছু কাজ আছে, যার দ্বারা রোজার কোনো ক্ষতি হয় না। পক্ষান্তরে কেউ কেউ এসব কাজ পরিহার করতে গিয়ে অযথা কষ্ট ভোগ করে। এসব বিষয়েও সকল রোজাদার অবগত হওয়া জরুরি।
 
কোনো রোজাদার রোজার কথা ভুলে গিয়ে পানাহার করলে তার রোজা নষ্ট হবে না। তবে রোজা স্মরণ হওয়ামাত্রই পানাহার ছেড়ে দিতে হবে।
 
হাদিস শরিফে এসেছে- من نسي وهو صائم فأكل أو شرب فليتم صومه، فإنما أطمعه الله وسقاه. ‘যে ব্যক্তি ভুলে আহার করল বা পান করল সে যেন তার রোজা পূর্ণ করে। কারণ আল্লাহই তাকে পানাহার করিয়েছেন।’-সহীহ মুসলিম ১/২০২; আলবাহরুর রায়েক ২/২৭১; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/২০২
 
চোখে ওষুধ-সুরমা লাগালে রোজার কোনো ক্ষতি হয় না।
 
আনাস রা. রোজা অবস্থায় সুরমা ব্যবহার করতেন।-সুনানে আবু দাউদ ১/৩২৩; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/২০৩; রদ্দুল মুহতার ২/৩৯৫
 
রাত্রে স্ত্রীসহবাস করলে বা স্বপ্নদোষ হলে সুবহে সাদিকের আগে গোসল করতে না পারলেও রোজার কোনো ক্ষতি হবে না। তবে কোনো ওজর ছাড়া, বিশেষত রোজার হালতে দীর্ঘ সময় অপবিত্র থাকা অনুচিত।
 
আয়েশা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, গোসল ফরজ অবস্থায় নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সকাল হত। অতঃপর তিনি গোসল করে রোজা পূর্ণ করতেন।
 
রোজা রেখে স্ত্রীকে চুমু দেয়া যাবে?
 
বীর্যপাত ঘটা বা সহবাসে লিপ্ত হওয়ার আশঙ্কা না থাকলে স্ত্রীকে চুমু খাওয়া জায়েজ। তবে কামভাবের সাথে চুমু খাওয়া যাবে না। আর তরুণদের যেহেতু এ আশঙ্কা থাকে তাই তাদের বেঁচে থাকা উচিত।
 
আবদুল্লাহ ইবনে আমর ইবনুল আস রা. বলেন, আমরা নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকটে ছিলাম। ইতিমধ্যে একজন যুবক এল এবং প্রশ্ন করল, আল্লাহর রাসূল! আমি কি রোজা অবস্থায় চুম্বন করতে পারি?
 
নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, না। এরপর এক বৃদ্ধ এল এবং একই প্রশ্ন করল। নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, হাঁ। আমরা তখন অবাক হয়ে একে অপরের দিকে তাকাচ্ছিলাম। নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আমি জানি, তোমরা কেন একে অপরের দিকে তাকাচ্ছ। শোন, বৃদ্ধ ব্যক্তি নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে।-মুসনাদে আহমদ ২/১৮০, ২৫০
 
আবু মিজলায রাহ. বলেন, আবদুল্লাহ ইবনে আববাস রা.-এর নিকট এক বৃদ্ধ রোজা অবস্থায় চুমু খাওয়ার মাসআলা জিজ্ঞাসা করল। তিনি তাকে অনুমতি দিলেন। অতঃপর এক যুবক এসে একই মাসআলা জিজ্ঞাসা করলে তিনি তাকে নিষেধ করলেন।-মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক ৪/১৮৫; খুলাসাতুল ফাতাওয়া ১/২৬০; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/২০০
 
অনিচ্ছাকৃত বমি হলে (মুখ ভরে হলেও) রোজা ভাঙ্গবে না। তেমনি বমি মুখে এসে নিজে নিজে ভেতরে চলে গেলেও রোজা ভাঙ্গবে না।
 
হাদিস শরিফে আছে, অর্থ : অনিচ্ছাকৃতভাবে কোনো ব্যক্তির বমি হলে তার রোজা কাজা করতে হবে না।-জামে তিরমিজি ১/১৫৩, হাদিস : ৭২০; আলবাহরুর রায়েক ২/২৭৪; রদ্দুল মুহতার ২/৪১৪
 
শরীর বা মাথায় তেল ব্যবহার করলে রোজা ভাঙ্গবে ?
 
শরীর বা মাথায় তেল ব্যবহার করলে রোজা ভাঙ্গবে না। কাতাদাহ রাহ. বলেন, ‘রোজাদারের তেল ব্যবহার করা উচিত, যাতে রোজার কারণে সৃষ্ট ফ্যাকাশে বর্ণ দূর হয়ে যায়।-মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক ৪/৩১৩; আদ্দুররুল মুখতার ২/৩৯৫; আলবাহরুর রায়েক ২/১৭৩
 
শুধু যৌন চিন্তার কারণে বীর্যপাত হলে রোজা ভাঙ্গবে না। তবে এ কথা বলাই বাহুল্য যে, সব ধরনের কুচিন্তা তো এমনিতেই গুনাহ আর রোজার হালতে তো তা আরো বড় অপরাধ।-ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/২০৪; রদ্দুল মুহতার ২/৩৯৬
 
কামভাবের সাথে কোনো মহিলার দিকে তাকানোর ফলে কোনো ক্রিয়া-কর্ম ছাড়াই বীর্যপাত হলে রোজা ভাঙ্গবে না। তবে রোজা অবস্থায় স্ত্রীর দিকেও এমন দৃষ্টি দেওয়া অনুচিত। আর অপাত্রে কু-দৃষ্টি তো গুনাহ। যা রোজা অবস্থায় আরো ভয়াবহ। এতে ঐ ব্যক্তি রোজার ফজিলত ও বরকত থেকে মাহরূম হয়ে যায়।
 
জাবির ইবনে যায়েদকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছে, কোন ব্যক্তি তার স্ত্রীর দিকে কামভাবের সাথে তাকানোর ফলে বীর্যপাত ঘটেছে, তার কি রোজা ভেঙ্গে গেছে? তিনি বললেন, ‘না। সে রোজাপূর্ণ করবে।’-মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা ৬-২৫৯ আরো দেখুন : সহীহ বুখারী ১/২৫৮; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/২০৪; ফাতাওয়া শামী ২/৩৯৬
 
মশা-মাছি, কীট-পতঙ্গ পেটের ঢুকে গেলে রোজা ভঙ্গ হবে?
 
মশা-মাছি, কীট-পতঙ্গ ইত্যাদি অনিচ্ছাকৃত পেটের ভেতর ঢুকে গেলেও রোজা ভাঙ্গবে না। অনুরূপ ধোঁয়া বা ধুলোবালি অনিচ্ছাকৃতভাবে গলা বা পেটের ভেতর ঢুকে গেলে রোজা ভাঙ্গবে না।
 
আবদুল্লাহ ইবনে আববাস রা. বলেন, ‘কারো গলায় মাছি ঢুকে গেলে রোজা ভাঙ্গবে না।’-মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা ৬/৩৪৯; রদ্দুল মুহতার ২/৩৯৫; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/২০৩
 
স্বপ্নদোষ হলে রোজা ভাঙ্গবে?
 
স্বপ্নদোষ হলে রোজা ভাঙ্গবে না। আবু সাঈদ খুদরী রা. থেকে বর্ণিত, নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মুখ ভরে বমি হল। তিনি তখন বললেন- ثلاث لا يفطرن الصائم : القيء، والحجامة، والحلم. তিন বস্ত্ত রোজাভঙ্গের কারণ নয় : বমি, শিঙ্গা লাগানো ও স্বপ্নদোষ।-সুনানে কুবরা, বাইহাকী ৪/২৬৪
 
চোখের দু’ এক ফোটা পানি মুখে চলে গেলে রোজার ক্ষতি হয় না। তবে তা যদি গলার ভেতর চলে যায় তাহলে রোজা ভেঙ্গে যাবে।-আলমুহীতুল বুরহানী ৩/৩৪৯; ফাতাওয়া হিনিদয়া ১/২০৩
 
সুস্থ অবস্থায় রোজার নিয়ত করার পর যদি অজ্ঞান বা অচেতন হয়ে যায় তাহলে রোজা নষ্ট হবে না। নাফে রাহ. বলেন, আবদুল্লাহ ইবনে ওমর রা. নফল রোজা অবস্থায় বেহুশ হয়ে যান কিন্তু এ কারণে রোজা ভাঙ্গেননি।-সুনানে কুবরা, বাইহাকী ৪/২৩৫; আলমুহীতুল বুরহানী ৩/৩৬৮; মাবসূত, সারাখসী ৩/৮৮

নিউজটি আপডেট করেছেন : Daily Sonali Rajshahi

কমেন্ট বক্স

এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ